পশু থেকে মানুষের দেহে এল রােগ

 পশু থেকে মানুষের দেহে এল রােগ

কৃষি সভ্যতার তখন প্রথম যুগ । মানুষ তার নিজের প্রয়ােজনে শিখে নিল পশুপালন । মানুষ আর পশু - পাখি পাশাপাশি থাকতে আরম্ভ করল । নিজের নানা কাজে সে ব্যবহার করতে আরম্ভ করল পশুদের – পশুদের দুধ পান করা , তাদের চামড়া দিয়ে জামাকাপড় , জুতাে তৈরি করা । আর পশুপাখিদের মলমূত্রের মধ্য দিয়ে তাদের নানা সংক্রামক অসুখ সঞ্চারিত হলাে মানুষের দেহে । 

ব্যাবিলনের রাজা হামুরাবির সময়ে খােদাই করা একটি পাথরে সম্ভবত পৃথিবীর যক্ষ্মা ( TB ) রােগের স্বীকৃত প্রাচীনতম উল্লেখ পাওয়া যায় । যক্ষ্মা সংক্রামক রােগ । নগরায়ন বা শিল্পায়নের সময় অনেক লােক যখন একসঙ্গে ছােটো জায়গায় থাকতে আরম্ভ করল , যক্ষ্মা নিল মহামারির আকার । একই জায়গায় বহু লােকের একসঙ্গে উপস্থিতি বায়ুবাহিত রােগ সংক্রমণের সম্ভাবনা বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়


কাঠের গুঁড়াে , ফুলের রেণু আর হাঁচি - কাশি 

সেদিন স্কুলের মিড - ডে মিলে ডিমের তরকারি হয়েছে । অমিত বলল , আমি ডিম খাব না । ডিম খেলে । আমার গায়ে লাল লাল দাগ বেরিয়ে যায় , হাঁচি হয় , কখনও বমিও হয় । রফিক বলল , সে কী রে , তুই ডিম খেতে পারিস না । তাহলে তাের ডিমটা আমাকে দিস । তাের কী কষ্ট রে । অমিত বলল , ডাক্তারবাবু বলেছেন যে আমার ডিমে অ্যালার্জি আছে । প্রেরণা বলল , অ্যালার্জি কী রে ? আয়েষা বলল , ঠিক জানি না । তবে জানিস তাে আমারও না অমিতেরই মতাে সমস্যা আছে । তবে ডিমে না , ধুলােয় । বাড়িতে বইপত্তর , লেপ - তােশকের ধুলাে আমার নাকে গেলেই হাঁচি শুরু হয় , চোখ নাক জ্বালা করতে থাকে আর জল পড়ে । 

বিভিন্ন বস্তুর কাছাকাছি এলে বা খেলে তােমাদের দেহে যে নানারকম সমস্যা ( গায়ে লাল লাল দাগ , হাঁচি , চোখ নাক জ্বালা করা , বমি ইত্যাদি ) দেখা যায় , সেটাই হলাে অ্যালার্জি । আর যেসব বিভিন্ন বস্তু তােমাদের দেহে অ্যালার্জি সৃষ্টি করে , তারাই হলাে অ্যালার্জেন । কয়েকটি অ্যালার্জেন হলাে ডিম। বায়ুবাহিত বিভিন্ন রােগের হাত থেকে বাঁচার উপায় :- 1.অসুস্থ অবস্থায় হাঁচি / কাশির সময় মুখে আর নাকে রুমাল চাপা দেওয়া ।  2. যেখানে সেখানে থুতু না ফেলা ।


Previous
Next Post »